ধ্বনিতত্ত্ব
Nadim Sir
01710-656970
ধ্বনিতত্ত্ব
বাংলা ভাষার ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ
ড.
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে
‘কোনো ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আমরা কতগুলি ধ্বনি পাই।‘ মূলত প্রতিটি ভাষাই একটি সুনির্দিষ্ট ধ্বনিশৃংখলা বা ধ্বনি সংগঠনের অধিন । ধ্বনি নির্গত হয়
মুখ দিয়ে ।
ধ্বনি উৎপাদনে মুখ,
নাসিকা, কণ্ঠ প্রভৃতি বাক-প্রত্যঙ্গে ব্যবহৃত হলেও ধ্বনি উৎপাদনের মূল উৎস হলো ফুস্ফুস। ধ্বনি গঠনে বিভিন্ন বাক-প্রত্যঙ্গের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ধ্বনির
প্রকারভেদ – বাংলা ভাষার মৌলিক ধ্বনিগুলোকে
প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা যায় , যথা-
১। স্বর ধ্বনি ও ২। ব্যাঞ্জন ধ্বনি
বাগযন্ত্রের বিবরণ
মুখবিবরের যে অঙ্গগুলোর সাহায্যে ধ্বণি উচ্চারণ করি তাদের প্রত্যেকটি এক একটি বাকপ্রত্যঙ্গ, আর বাক প্রত্যঙ্গগুলো মিলিয়ে বলা হয়
বাগযন্ত্র ।
মানব দেহের মুখগহবরের ফুস্ফুস থেকে ঠোঁট পর্যন্ত যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ধ্বণির সৃষ্টি হয় তাদেরকে বাগযন্ত্র বলে ।
নিম্নে বাগযন্ত্রের
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমুহের বিবরণ দেওয়া হলো –
১। ফুস্ফুসঃ যে ফুসফুসের সাহায্যে আমরা শ্বাস গ্রহন ও ত্যাগ করি
সে ফুসফুসেই আমাদের বাগধ্বনি উচ্চারনের প্রধান উৎস ফুসফুস থেকে বাতাস বেরিয়ে আসার
সময় বিভিন্ন বাকপ্রত্যেঙ্গের সংস্পর্শে ধ্বনির সৃষ্টি হয় ।
২। স্বরযন্ত্রঃ কথা বলার সময় গলনালির যে অংশের উপর চাপ বেশী পরে তাকে
স্বরযন্ত্র বলে ।
৩। জিহবাঃ জিহবা আমাদের অন্যতম বাগযন্ত্র । জিহবাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- জিহবার ডগা, পাতা
বা সম্মুখভাগ এবং পশ্চাৎ ভাগ ।
৪। দাঁতঃ দাঁত ধ্বনি উচ্চারণে বিশেসভাবে সাহায্য করে । নিচের
পাটির দাঁত ধ্বনি উচ্চারণে তেমন কোন কাজে না লাগলেও ওপরের পাটির দাঁত আমাদের
বিশেসভাবে সাহায্য করে । ওপরের পাটির দাতের পিছনে জিহবার ডগা ঠেকিয়ে আমরা ত, থ, দ,
ধ ইত্যাদি উচ্চারন করি ।
৫। দাতের মাড়ি বা
দন্তমূলঃ দাতের মাড়ি
বা দন্তমূলও একটি উল্লেখযোগ্য বাগযন্ত্র । দাঁতের গোড়ায় যে উঁচু মাংসের বাধন আছে
তাকে দাঁতের মাড়ি বলে । ওপর পাটির দাঁতের মাড়ির সঙ্গে জিহবার ডগা, জিহবার পাতার
দুই পার্শ্ব বা জিহবার পিছনদিকের দুই পার্শ্ব স্পর্শ করে আমরা ত, থ, দ, ধ, ন ও শ
ইত্যাদি ধ্বনি উচ্চারণ করি ।
৬। তালুঃ ওপর পাটির দাঁতের শেষ ভাগ থেকে আলজিহবার মূল জিহবার
মূল পর্যন্ত অংশকে তালু বলা হয় । তালুকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা- সম্মুখ ও
পশ্চাৎ ভাগ । তালুর সম্মুখ ভাগকে শক্ত তালু এবং পশ্চাৎ ভাগকে কোমল তালু বলা হয় ।
শক্ত তালকে ওপর-নীচ করা যায় না, কিন্তু কোমল তালুকে ওপর-নীচ করা যায় ।
৭। আলজিহবাঃ কোমল তালুর সঙ্গে ঘড়ির পেন্ডুলামের মত যে ছোট সূচালো
মাংস খন্ড নীচের দিকা ঝুলে থাকে তাকেই আল জিহবা বলে ।
৮। ঠোঁটঃ ঊভয় ঠোঁটই আমাদের ধ্বনি উচ্চারনের কাজে লাগে । তাই
ঠোঁট দুটিও বাকপ্রত্যেঙ্গের অন্তর্গত । দুই ওষ্ঠের বা ঠোটের সংস্পর্শে আমরা যে
সমস্ত ধ্বনি পাই সেগুলিকে ওষ্ঠ্য ধ্বনি বলে । যেমন- প, ফ, ব, ভ ইত্যাদি ।
৯। নাসিকা গহবর বা নাসাপথঃ আমাদের নাকের ভিতর দুটি ছিদ্র আছে । এই ছিদ্র দুটি
তালুর উপরিভাগ দিয়ে গলনালীর সঙ্গে মিলেছে । নাকের ডগা থেকে গলনালী পর্যন্ত এই
ছিদ্র বা পথকে নাসিকা বা নাসাপথ বলে । ফুসফুসের বাতাস অনেক সময় মুখ দিয়ে না বেরিয়ে
নাসা দিয়ে বের হয় । ফুসফুসের বাতাস নাসাপথ দিয়ে বের হবার সময় যে ধ্বনির সৃষ্টি হয়
তাকে নাসিক্য ধ্বনি বলে । যেমন– ঙ, ঞ, ণ, ম ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, শুধু একটি মাত্র বাকপ্রত্যঙ্গ দিয়ে কোনো
অর্থবোধক ধ্বনি উচ্চারণ করা যায় না । ধ্বনি উচ্চারনে কমপক্ষে দুটি বাকপ্রত্যঙ্গ লাগে। বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের নাম অনুসারে ধ্বনি বা
ধ্বনির প্রতিক বর্ণের নামকরণ
করা হয়েছে । যেমনঃ
|
|
বাগযন্ত্র
|
অপর নাম
|
ধ্বনি বা
বর্ণের নাম
|
নাক
|
নাসিকা
|
নাসিক্য
বর্ণ
|
তালু
|
–
|
তালব্য
বর্ণ
|
জিভ
|
জিহবা
|
জিহবামূলীয়
বর্ণ
|
মাড়ির একটা
অংশ
|
মূর্ধা
|
মূধর্ণ
বর্ণ
|
দাঁত
|
দন্ত
|
দন্ত্যবর্ণ
|
ঠোঁট
|
ওষ্ঠ
|
ওষ্ঠ্যবর্ণ
|
বর্ণ
বিভিন্ন ধ্বনিকে লেখার সময় বা নির্দেশ করার সময় যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে বর্ণ বলে।
স্বরবর্ণ : স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে স্বরবর্ণ বলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে।
হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি : আমরা যখন ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করি, তখন তার শেষে একটি স্বরধ্বনি ‘অ’-ও উচ্চারণ করি। যেমন, ‘ক্’ কে উচ্চারণ করি (ক্ + অ =) ‘ক’। উচ্চারণের সুবিধার জন্য আমরা এই কাজ করি। কিন্তু স্বরধ্বনি ছাড়া ‘ক্’ উচ্চারণ করলে সেটা প্রকাশ করার জন্য ‘ক’-এর নিচে যে চিহ্ন (& )দেয়া হয়, তাকে বলে হস্ / হল চিহ্ন। আর যে ধ্বনির পরে এই চিহ্ন থাকে, তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি। কোন বর্ণের নিচে এই চিহ্ন দেয়া হলে তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত বর্ণ।
বাংলা বর্ণমালা : বাংলা বর্ণমালায় বর্ণ আছে মোট ৫০টি। নিচে বর্ণমালা অন্যান্য তথ্য সহকারে দেয়া হলো-
* এই দুটি স্বরধ্বনিকে দ্বিস্বর বা যুগ্ম স্বরধ্বনি বলে। কারণ, এই দুটি মূলত ২টি স্বরধ্বনির মিশ্রণ। যেমন- অ+ই = ঐ, অ+উ = ঔ বা ও+উ = ঔ। অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মূলত ৯টি।
বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ ; কার ও ফলা : প্রতিটি স্বরবর্ণ ও কিছু কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ দুটো রূপে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, স্বাধীনভাবে শব্দের মাঝে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক সময় অন্য কোন বর্ণে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপে বা আশ্রিত রূপেও ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘আ’ বর্ণটি ‘আমার’ শব্দের স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার ‘ম’-র সঙ্গে আশ্রিত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপেও (া ) ব্যবহৃত হয়েছে।
স্বরবর্ণের এই আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে কার, আর ব্যঞ্জনবর্ণের আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে ফলা। উপরে ‘আমার’ শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে যুক্ত ‘আ’-র সংক্ষিপ্ত রূপটিকে (া ) বলা হয় আ-কার। এমনিভাবে ই-কার ( ি ), ঈ-কার ( ী ), উ-কার ( ু ), ঊ-কার ( ূ ), ঋ-কার (ৃ ), এ-কার ( ে ), ঐ-কার ( ৈ), ও-কার ( ো), ঔ-কার ৌ) কার। তবে ‘অ’ এর কোন কার নেই।
আবার আম্র শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে ‘র’ সংক্ষিপ্ত রূপে বা ফলা যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত রূপটি ( ) র-ফলা। এরকম ম-ফলা ( ¨ ), ল-ফলা ( ), ব-ফলা ( ^ ), ইত্যাদি।
উচ্চারণবিধি
স্বরধ্বনির উচ্চারণ
স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে বের হয়ে কোথাও বাধা পায় না। মূলত জিহবার অবস্থান ও ঠোঁটের বিভিন্ন অবস্থার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। নিচে স্বরধ্বনির উচ্চারণ একটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো-
যৌগিক স্বরধ্বনি : পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে তারা উচ্চারণের সময় সাধারণত একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়ে থাকে। পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হলে মিলিত স্বরধ্বনিটিকে বলা হয় যৌগিক স্বর, সন্ধিস্বর, সান্ধ্যক্ষর বা দ্বি-স্বর।
বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বর মোট ২৫টি। তবে যৌগিক স্বরবর্ণ মাত্র ২টি- ঐ, ঔ। অন্য যৌগিক ধ্বনিগুলোর নিজস্ব প্রতীক বা বর্ণ নেই।
ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ
উচ্চারণ অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো অনেকগুলো ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
স্পর্শ ব্যঞ্জন : ক থেকে ম পর্যন্ত প্রথম ২৫ টি ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস মুখগহবরের কোন না কোন জায়গা স্পর্শ করে যায়। এজন্য এই ২৫টি বর্ণকে বলা হয় স্পর্শধ্বনি বা স্পৃষ্টধ্বনি।
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ- এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ- এগুলো ঘোষ ধ্বনি।
উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি : শ, ষ, স, হ- এই চারটি ধ্বনি উচ্চারণের শেষে যতক্ষণ ইচ্ছা শ্বাস ধরে রাখা যায়, বা শিশ্ দেয়ার মতো করে উচ্চারণ করা যায়। এজন্য এই চারটি ধ্বনিকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। এগুলোর মধ্যে শ, ষ, স- অঘোষ অল্পপ্রাণ, হ- ঘোষ মহাপ্রাণ।ঃ
ঃ (বিসর্গ) : অঘোষ ‘হ’-র উচ্চারণে প্রাপ্ত ধ্বনিই হলো ‘ঃ’। বাংলায় একমাত্র বিস্ময়সূচক অব্যয়ের শেষে বিসর্গ ধ্বনি পাওয়া যায়। পদের মধ্যে ‘ঃ’ বর্ণটি থাকলে পরবর্তী ব্যঞ্জনের উচ্চারণ দুইবার হয়, কিন্তু ‘ঃ’ ধ্বনির উচ্চারণ হয় না।
কম্পনজাত ধ্বনি- র : ‘র’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ কম্পিত হয়, বা কাঁপে এবং দন্তমূলকে কয়েকবার আঘাত করে ‘র’ উচ্চারিত হয়। এজন্য ‘র’-কে বলা হয় কম্পনজাত ধ্বনি।
তাড়নজাত ধ্বনি- ড় ও ঢ় : ‘ড়’ ও ‘ঢ়’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগের নিচের দিক বা তলদেশ ওপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে দ্রচত আঘাত করে বা তাড়না করে উচ্চারিত হয়। এজন্য এদেরকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে। মূলত ‘ড’ ও ‘র’ দ্রচত উচ্চারণ করলে যে মিলিত রূপ পাওয়া যায় তাই ‘ড়’ এর উচ্চারণ। একইভাবে ‘ঢ়’, ‘ঢ’ ও ‘র’-এর মিলিত উচ্চারণ।
পার্শ্বিক ধ্বনি- ল : ‘ল’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ উপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে ঠেকিয়ে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের করে দেয়া হয়। দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে।
আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম- এদের উচ্চারণের সময় এবং ং, ঁ কোন ধ্বনির সঙ্গে থাকলে তাদের উচ্চারণের সময় মুখ দিয়ে বাতাস বের হওয়ার সময় কিছু বাতাস নাক দিয়ে বা নাসারন্ধ্র দিয়েও বের হয়। উচ্চারণ করতে নাক বা নাসিক্যের প্রয়োজন হয় বলে এগুলোকে বলা হয় আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি।
পরাশ্রয়ী বর্ণ : ং,ঃ,ঁ - এই ৩টি বর্ণ যে ধ্বনি নির্দেশ করে তারা কখনো স্বাধীন ধ্বনি হিসেবে শব্দে ব্যবহৃত হয় না। এই ধ্বনিগুলো অন্য ধ্বনি উচ্চারণের সময় সেই ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে উচ্চারিত হয়। নির্দেশিত ধ্বনি নিজে নিজে উচ্চারিত না হয়ে পরের উপর আশ্রয় করে উচ্চারিত হয় বলে এই বর্ণগুলোকে পরাশ্রয়ী বর্ণ বলে।
নিচে স্পর্শধ্বনির (ও অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধ্বনি) একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা ছক আকারে দেয়া হলো-
- উল্লেখ্য, কণ্ঠ্য ধ্বনিকে জিহবামূলীয় এবং মূর্ধণ্য ধ্বনিকে দন্তমূল প্রতিবেষ্টিত ধ্বনিও বলে।অন্তঃস্থ ধ্বনি : য, র, ল, ব- এদেরকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয়। তবে অন্তঃস্থ ‘ব’ এখন আর বর্ণমালায় নেই, এবং এখন আর এটি শব্দে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় না। তবে ব্যাকরণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত সন্ধিতে এর প্রয়োগ দেখা যায়।
কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ
আপনার মতামত এবং সুপারিশ কমেন্টস করুন ।
উত্তরমুছুনHi
উত্তরমুছুন